সুয়াপাড়া গোলাম কিবরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত হতে পারাটা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের বিষয় যখন এটি ডিজিটালাইজড হওয়ার পথে।
আমি তার নিজস্ব ওয়েবসাইট, sgkhs.edu.bd চালু করার সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রশংসা করছি।
উচ্চ প্রযুক্তির সমসাময়িক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য এটি একটি সময়ের উপযুক্ত উদ্যোগ। বিশ্বায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিজিটালাইজেশনের গুরুত্ব খুব কমই বলা যায়।
একসময় আমরা প্রযুক্তির জোরে ভবিষ্যৎ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতাম। এখন আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সময়। সুয়াপাড়া গোলাম কিবরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ইতিমধ্যে সে দিকে যাত্রা শুরু করেছে।
আমি জানতে পেরে খুশি যে এটি তার অ্যাকাউন্টগুলিকে কম্পিউটারাইজ করেছে এবং ছাত্র ও শিক্ষক ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার ইনস্টল করেছে ৷
নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কে সুয়াপাড়া গোলাম কিবরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার এটিকে এর স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ রঙে আরও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে।
এটি অবশ্যই এই প্রতিষ্ঠানের ক্রমাগত সাফল্যে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুরূপ পদক্ষেপ আমাদের দেশকে একটি
আইটি-ভিত্তিক সমাজে রূপান্তরিত করার পথ প্রশস্ত করবে এবং আমাদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করবে। সূক্ষ্মভাবে, আমি ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি
বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করার জন্য প্রধান শিক্ষক এবং অন্যান্য উদ্যোক্তাদের আমার আন্তরিক অভিনন্দন এবং আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই।
এ স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ–পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকমন্ডলী, অত্যাধুনিক পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ল্যাব ও ব্যবহারিক ক্লাস এবং অত্যাধুনিকস্মার্ট ক্লাস রুম। । এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে আধুনিক তথ্য ও বইসমৃদ্ধ লাইব্রেরি; যেখানে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই।প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে সাবলীল একটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান।
চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে ঐতিহ্যবাহী সুয়াপাড়া গোলাম কিবরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান যা ১৯৬৬ খ্রীস্টাব্দে মাত্র ২৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এ-এলাকার মানবহিতৈষীদের নিরলস প্রচেষ্টায় যাত্রা শুরু করে ছিল।
তারই ধারাবাহিকতায় অদ্যাবধি প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়টি বরাবরই ঈর্ষান্বিত সাফল্য অর্জন করে চলছে। সর্বক্ষেত্রে ছোঁয়া লেগেছে আধুনিক প্রযুক্তির।
আধুনিক প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীকে দক্ষ করার জন্য বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি সহ সকল শিক্ষকগণ সক্রিয় রয়েছেন। শিক্ষার্থী অনুসারে আসবাব পত্র ও অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় আমাদেরকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হিমসিম খেতে হয়।
এ ক্ষেত্রে এলাকার ধন্যাঢ্য ও জ্ঞানীজন ও সুধীজনকে স্বাগতম জানাবার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি যাঁরা বিদ্যালয়ের প্রয়োজনগুলো পূরণে এগিয়ে আসবেন তাঁদেরকে।
আমরা সেই সকল সুযোগ দিচ্ছি, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সাহস করে হাসিমুখে শিক্ষককে প্রশ্ন করতে পারে। আমরা সুযোগ দিচ্ছি সুস্থ্য সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে কিভাবে নিজের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে জানা যায় এবং ক্রীড়ার মাধ্যমে নিজেকে মাদকমুক্ত রাখা যায়।
সব মিলিয়ে আপনার সন্তান গড়ে উঠুক নৈতিকতায় এটিউ আমাদের কাম্য।
আজ সময় এসেছে আপনার সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবার। তাই আমরা জীবনের বাস্তবজ্ঞান, কঠোর পরিশ্রম, সুশৃঙ্খল নিয়মাবলী, সুশিক্ষা ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার মাধ্যমে আপনাদের সন্তানের ভবিষ্যত বিনির্মাণে সহায়তা করছি এবং
আশা করছি একদিন এই শিক্ষার্থীরা আপনাদের পরিবার, সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নেবে। পরিশেষে যাঁদের শ্রমে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে এখানে যবনিকা টানলাম। মহান প্রভু সবার প্রতি সহায় হউন।
অত্র বিদ্যালয়টি এলাকার শিক্ষানুরাগী গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৬৬ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার তারিখঃ ০১/০১/১৯৬৬খ্রিঃ।
এলাকার দরিদ্র জন সাধারণ, কৃষক ও শ্রমিকদের সন্তানদের লেখাপড়ার উপকারার্থে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ০১/০১/১৯৭০খ্রিঃ তারিখে নিম্ন মাধ্যমিক হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। ০১/০১/১৯৭৬খ্রিঃ তারিখে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। অত্র বিদ্যালয় থেকে বেশ কিছু শিক্ষার্থী কৃতিত্বের সহিত পাশ করেন এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সুনামের সহিত কাজ করছেন।
এই বিদ্যালয়টি যিনি প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর নাম- জনাব মোঃ গোলাম কিবরিয়া।
ইতিহাসঃ এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষানুরাগী গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের যৌথ উদ্দ্যোগে এলাকার দরিদ্র জনগণের সন্তানদের লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করতে যাঁদের অবদান রয়েছে তাঁরা হলেন- প্রয়াত নওয়াব আলী (প্রধান শিক্ষক)
সর্বপ্রথম বিদ্যালয়ের জন্য তিঁনি ১৫ শতাংশ জমি দান করে বিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন করেন এবং তথন থেকেই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রয়াত জনাব আব্দুল মতিন, জনাব গোলাম কিবরিয়া, জনাব ফজলুল হক বি.এসসি, জনাব নূরূল ইসলাম, জনাব ইউনুছ মিয়া,
জনাব ইয়াছিন মিজি, প্রয়াত জনাব শামছুল হক, প্রয়াত জনাব জয়নাল আবেদীন (চেয়ারম্যান), জনাব চাঁদ মিয়া, প্রয়াত জনাব আমিনুল ইসলাম (প্রধান শিক্ষক), প্রয়াত মমতাজ উদ্দিন (শিক্ষক) উল্লেখযোগ্য। জনাব গোলাম কিবরিয়া বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা।
এখানে উল্লেখ্য যে, তিঁনি বিদ্যালয়ের জন্য ১১২.৫০ শতাংশ জমি দান এবং এটি টিনশেড ঘর (১৮০ ফুট x ১৮ ফুট x ০৬ ফুট) নিজস্ব তহবিল/নিজের টাকায় তৈরী করে দিয়েছেন। তিঁনি গরীব অথচ মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে থাকেন।
অবদানের স্বীকৃতী স্বরূপ অত্র এলাকার জনগণ জনাব গোলাম কিবরিয়া কে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নির্বাচিত করেন। সে মোতাবেক কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ‘প্রতিষ্ঠাতা’ হিসাবে জনাব গোলাম কিবরিয়াকে স্বীকৃতি দেন।
যাহার স্মারক নং-১৫৪/চাঁঃ/কুম/৭৬/১৭৫৭, তাং-২৫/০৯/১৯৮১খ্রিঃ, স্বাক্ষর-অস্পষ্ট, বিদ্যালয় পরিদর্শক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা।